শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি::
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক চোরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা হাজীরহাট এলাকার মৃত কোনা মামুদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম বিশাদ দীর্ঘদিন থেকে চুরি ও পকেটমার ছাড়াও বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত। ঘটনার দিন গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ওই গ্রামের হামেজ আলী ও তার স্ত্রী ঘরের বাইরে থাকায় আনোয়ারুল তাদের ঘরে ঢুকে গরু বিক্রির ৫০ হাজার টাকা চুরি করে। চুরির বিষয়টি টের পেয়ে হামেজ আলীর স্ত্রী রশিদা বেগম ঘরে ঢুকলে আনোয়ারুল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি রশিদা বেগম এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে সু-বিচার কামনা করেন। এ ঘটনার জের ধরে ২০ জানুয়ারি বিকেলে রশিদা ও তার ছেলে স্বপন ধান ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তী হাজীরহাট বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে রাস্তায় আনোয়ারুল তার স্ত্রী নিলিফা বেগম ও তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম মারপিট করে। মারপিটে গুরুত্বর আহত রশিদা ও তার ছেলের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মারপিটকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই গ্রামের শহিদুল, রসিদুল, ইসমাইল, বাচ্চা মিয়া, আতিয়ার রহমানসহ আরো অনেকে জানান, আনোয়ারুল ইসলাম বিশাদ দীর্ঘদিন থেকে চুরি, পকেটমারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে। সে গ্রামের প্রায় ৩৫ টি বাড়ী চুরি করেছে।
এছাড়াও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামে গিয়ে চুরি ও পকেটমারে। ইতিপূর্বে সে চুরি ও পকেটমারের জন্য আটক হয়ে জেল খেটেছে। আমরা তাকে এসব অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে বললে সে আমাদেরকে মামলাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মারপিটের ঘটনায় বাদী হয়ে রশিদা বেগম আনোয়ারুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আলমবিদিতর ইউ.পি চেয়ারম্যান আফতাবুজ্জামান আফতাবের সাথে মোবাইলে, চুরি ও পকেটমারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার এস.আই ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, সে পকেটমার কিন্তু এলাকায় পকেট মারেনা বাইরের উপজেলায় গিয়ে পকেটমারের কাজ করে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।